অনলাইন ডেস্ক:
ট্রাকের ধাক্কায় অভিনেত্রী অহনা রহমানের গুরুতর আহত হওয়ার মামলায় আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তারকৃত ট্রাকচালক মোহাম্মদ সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবীর আসামিকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি আশুলিয়া থেকে গ্রেফতারকৃত ট্রাকের হেলপার মো. রোহানও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে গেছেন।
হত্যাচেষ্টা ও বেপোরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগের এ মামলায় শনিবারে ভোরে আশুলিয়া থেকে সুমনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় তার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদ- হতে পারে।
অভিনেত্রী অহনাকে দুর্ঘটনায় আহত করার ঘটনায় গত ৯ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন তার খালাতো বোন লিজা ইয়াসমীন মিতু।
মামলায় মিতু অভিযোগ করেন, গত ৮ জানুয়ারি রাতে পুরান ঢাকায় শুটিং শেষে অহনা তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে উত্তরার বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তিনিও অহনার সঙ্গে ছিলেন। পুরান ঢাকা থেকে রাত সোয়া ৩টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে লেকড্রাইভ রোডে পৌঁছালে পাথরবোঝাই একটি ট্রাক তাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। গাড়ি থেকে বের হয়ে অহনা ট্রাকচালককে নামতে বললে উল্টো তাকেই দোষারোপ করেন চালক। এরপর চালক ইচ্ছে করে তাদের গাড়ির পেছনে আবার ধাক্কা দেন। এতে গাড়ির আরও ক্ষতি হয়।
ওই ঘটনার পর অহনা ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকচালকের পাশের দরজায় উঠে দাঁড়ান। চালক অহনাকে ওই অবস্থায় নিয়েই ট্রাক চালানো শুরু করেন। তখন অহনা ট্রাকের দরজার জানালা ধরে ঝুলতে থাকেন। আর বাদী ট্রাকের পেছন পেছন দৌঁড়াতে থাকেন। ট্রাকটি ১২ নম্বর সেক্টরে বাঁক নেওয়ার সময় উল্টে পড়ে যায়। অহনা ছিটকে পড়েন রাস্তার ওপর। পরে ট্রাক ফেলেই চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। এরপর তিনি অহনাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করান।
টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন অহনা। এর পাশাপাশি বেশকিছু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
অহনা বর্তমানে উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুর্ঘটনায় তার কোমরের হাড়ের সংযোগস্থলের হাড় সরে গেছে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কতর্ব্যরত চিকিৎসক।
ওই সময় ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-১৮২৬ নম্বরের ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন সুমন মিয়া ও হেলপার হিসেবে ছিলেন রোহান।